ঝুঁকিপূর্ণ টঙ্গী ব্রীজ বড় দূর্ঘটনার আশংকা
বি এ রায়হান, গাজীপুরঃ গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী অঞ্চলের তুরাগ নদের উপর রাজধানীর সাথে গাজীপুরের সংযোগ ব্রীজটি এখন চলাচলের অনুপযোগী। বিভিন্ন অংশে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল গর্ত ও ফাটল। যেকোন মূহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। সরজমিনে ঘুরে জানা যায়, ব্রীজটির বিভিন্ন অংশে প্লাস্টার খসে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল আকৃতির গর্ত যা লোহার পাত দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে এছাড়াও এই ব্রীজের বেশীরভাগ পিলারে বড় ধরনের ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। ব্রীজের সংযোগস্থলের মাটি সড়ে গিয়ে সৃষ্ট। গর্ত লোহার পাটাতন ও বালি দিয়ে ভরাট করেই যান চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা কর হচ্ছে। প্রতিনিয়ত প্লাস্টার খসে পরায় দূর্ঘটনার আশংকায় ব্রীজের নিচ দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কতৃপক্ষ। বুধবার মধ্য রাতে তেমনি একটি লোহার পাটাতন সরে গিয়ে বিশাল আকৃতির গর্ত উন্মোক্ত হয়ে পরলে ব্রীজের ভয়াবহতা দৃষ্টিগোচর হয় পথচারী ও পরিবহন চালকদের। এসময় সম্পূর্ণ যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে সকালে বিআরটি প্রকল্পের লোকজন এসে আবারো লোহার পাটাতনটি বসিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। দীর্ঘ সময় ব্রীজের একাংশ বন্ধ থাকায় সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। স্থানীয় ব্যবসায়ী মনির হোসেন জানান, লোহার পাটাতন থাকায় আমরা বুঝতেও পারিনি ব্রীজটির অবস্থা এত খারাপ আজ এই গর্ত দেখার পর থেকে মনে হচ্ছে যেকোন মূহুর্তে ব্রীজটি ভেঙ্গে পরতে পারে। অনেক মানুষের প্রাণহানি হতে পারে তাই আমরা আতঙ্কিত। পরিবহন চালক রসুল জানান, প্রতিদিন এই মহাসড়ক দিয়ে হাজার হাজার গনপরিবহন, পন্য পরিবহন ও ব্যক্তিগত পরিবহন চলাচল করে প্রায় সবাই আমরা এই ব্রীজ পার হওয়ার সময় আতঙ্কে থাকি। ব্রীজে গাড়ি নিয়ে উটলেই প্রচন্ড ভাবে ক্ষেঁপে উঠে মনে হয় এখনি ভেঙ্গে পড়বে। এবিষয়ে কথা হলে ট্রাফিক দক্ষিণ জোনের পুলিশ পরিদর্শক শাহাদত হোসেন জানান, রাত ১ টার দিকে হঠাৎ করে ব্রীজের মাঝখানের প্লাস্টার খসে পরে বিশাল গর্ত সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক ভাবে ষ্টীলের প্লেট দিয়ে ছোট যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। এসময় সকল ভাড়ী যানবাহন এজতেমা রোড হয়ে কামার দিয়ে পাস করা হয়। পরবর্তী সময় বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে বিআরটি প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের খবর দেওয়া হলে সকাল ১০ টা নাগাদ তারা সৃষ্ট গর্তের উপর লোহার পাটাতন বসিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি আরো বলেন, ব্রীজ এখন উন্মোক্ত হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। এ বিষয়ে বিআরটি প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।